হেমন্ত যামিনী
অজস্র শিশির মেখে পড়ে আছে হেমন্তযামিনী
শিশির না সিন্দুর আলতা বিয়ের কালের নাকছাবি
মৃত্যুর সান্নিধ্যে এসে থেমে গেছে বহু বাসনার আকুলতা
সেই সন্তানের জন্য পিছুটান বুকে দুধ আসা
টাইমের ভাত দিতে দেরী হলে জিভে উঠে আসা রক্তস্বাদ
সমস্ত মুছে দিয়ে জীর্ণ ধূসরতা
তোমাকে দুহাতে তুলে নিয়ে গেল জ্যোৎস্না- পর্বতে,
ঐখানে কতবার যেতে চেয়েছিলে ,
গভীর রাত্রির মধ্যে হরিতাভ খর নদী বয়
পাহাড়ের তীব্র বেয়ে অরণ্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে
জলতলে
কুটিল বাঘের মত ওৎ পেতে রক্তপায়ী শিলা
এই মনোরম পটে তুমি আর্দ্র হেমন্ত যামিনী
শ্বাস নেই, স্থির আঁখি , মূর্ছাগতা চলন্তী প্রতিমা
চারপাশে কান্নার রব খসে পড়ে উড়ে চলে যায়
যেন ক্ষীণ দূরস্থ সানাই
বড় ইচ্ছা হয় শুনিবার , আজ হাতে অনন্ত সময়।
জীবনে কি দেওয়া যেত
এই অশ্রু বিষাদের ছিটে, কুশাগ্রে ,না হয় ,
কিছু স্পর্শ দূর থেকে, ভালোবেসে, ঈষৎ আদরে?
চালের বাতায় গোঁজা গূঢ় সমাচার
বুকের উত্তাপে রাখা গোপন সম্বাদ
জানিবার সাধ হয়, আলতা সিন্দুর আর নাকছাবিটির।