অজস্র শিশির মেখে পড়ে আছে হেমন্তযামিনী
শিশির না সিন্দুর আলতা বিয়ের কালের নাকছাবি
মৃত্যুর সান্নিধ্যে এসে থেমে গেছে বহু বাসনার আকুলতা
সেই সন্তানের জন্য পিছুটান বুকে দুধ আসা
টাইমের ভাত দিতে দেরী হলে জিভে উঠে আসা রক্তস্বাদ
[ View more ]
বিকেলের ঘাসমাঠে রোদ পা মুছে মিলিয়ে যায়
সূর্যাস্তের আগে আমার পৌঁছনোর কথা ছিল
নিজের গ্রামে
তখনই চিন্তার মধ্যে সেগুন মঞ্জরী ঝরে পড়ে
মনে পড়ে যায় কোন গ্রাম নেই আমার
[ View more ]
বাতাস,সাদা পোশাকের পুলিস।
যেখানেই থাকি, সে জেনে যাবেই , আর তুলে নিয়ে চলে যাবে লক আপের ভিতর।
বিজন সেই অন্ধ কুঠুরি তে , গুঁড়ি মেরে বসে আছে জলপাই পোশাক আরও আরও বাতাস।
[ View more ]
আলোর মধ্যে যে দিন কেটেছিল, হলুদ সবুজ রোদ উথলানো গাছেরা
বাতাসের দৌড়, হ্রদের উপর দিয়ে ভেসে যাওয়া ছিন্ন মেঘ
রাত এসে তার উপর পেতে দিচ্ছে নীল রেশম যা এতদিন গুটিয়ে রাখা ছিল
বনস্থলীর অন্ধকারে। দরজা বন্ধ হচ্ছে খুলছে এলো পাথাড়ি যেন ঢাক
[ View more ]
আমাদের জনারণ্য আজ
একটি জোনাক-জ্বলা গাছ
জ্বলা ও নেভার ছন্দে পথ
কাঁপে, কলরোলে অট্টালিকাগুলি
দুলে ওঠে, আজ আমাদের ভয় নেই
[ View more ]
এক.
এই নিন, আপনার জন্য এসেছে নতুন সানকি, চেন আর
চামড়া র বকলস। মানুষেরই চামড়া, দেখে নিন।একবার
দেখে কবি নেমে যান নাবাল জমিতে। কচি শসা লিপ্ত হয়ে
আছে লতার ভাষায়, ফিঙে উড়ে চলে যায় রৌদ্রের গহনে।
[ View more ]
পল্লবে ফুলেতে সেজে আমাদের নৌকাটি চলিল
দুয়ারে দাঁড়ায়ে পথ, তারপর সমুদ্র দুস্তর
হুলাহুলি দেয় কেউ ,অশ্রুজলে কারো মন্দ্রস্বর
ও নৌকা কোথা যাও, মাস্তুলে কাঁদে গাংচিল
এই তরণীতে ছিল আমাদের মাণিক্য ভাণ্ডার
নকশী কাঁথা , শস্য , মাটি , কবিতার কল্পদ্রুমটি
বাংলার হাসি কান্না , পৃথিবীর কুহকিনী কথা
আবহমানের ছন্দ, ছিল বিস্ময়ের পারাবার
[ View more ]
হাসো, হেসে বলো তুমি দেবী নও,তুমি এক সামান্যা মানবী
এই জন্মের মতো চুকে যাক পলে পলে দাহ, আকিঞ্চন!
বলো, তুমি স্বপ্ন নও, মর্মর, মৎস্যনারী, ইম্পাহানি মায়া।
চাঁদের কেয়ূর পরা নও তুমি কুন্দশুভ্র রাত।
[ View more ]